রামেকে রোগীর স্বজনদের মারধর ও চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ

রামেকে রোগীর স্বজনদের মারধর ও চিকিৎসা না দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে (রামেক) রোগীর স্বজনদের মারধর ও চিকিৎসা না দিয়ে ছাড়পত্র ধরিয়ে  দেয়ার অভিযোগ। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় হাসপাতালের নিউরো সার্জারী বিভাগের ৩০ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

সূত্রমতে, আজ শনিবার সকাল ১০ টারদিকে রামেক’ এর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় একই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত এক নার্সের। রোগী সেবা পাচ্ছেন না এমন অভিযোগ এনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তার পিতা। এ সময় ওয়ার্ডের অন্য সকল নার্স একত্রিত হয়ে রোগীর পিতার ওপর চড়াও হয়।

 এদিকে রোগীর বাবা শিপন খাঁ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল শুক্রবার বেলা ৩ টারদিকে আমার মেয়ে সিমা খাতুন (৪) পাবনা সুজানগর মানিক হাট নামক স্থানে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি সিএজি চালিত অটো তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়, এ সময় স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পরে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমার মেয়ে সিমা অনবরত বমি করতে থাকলে কর্তব্যরত চিকিৎক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

পাবনা থেকে একটি এম্বুলেন্স ভাড়া করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসি, এবং ৩০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করি। সে সময় অত্র ওয়ার্ডে ডাক্তার ও নার্স কেউ উপস্থিত ছিলেননা।

ডাক্তার না থাকার কারনে অনেক ছুটাছুটি করার এক পর্যায় আমার গ্রামের পরিচিত রাজশাহীতে কর্মরত পুলিশের এসআই মিজানকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবগত করি, তিনি খুব ভোরে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে ডাক্তার এবং নার্সদের খোজাখুজি করেন, অবশেষে সকাল ৮ টার পর ওয়ার্ডে ডাক্তার ও নার্সদের আনাগোনা দেখা যায়।

এ সময় ডাক্তার আমার মেয়েকে দেখার পর পপুলার হাসপাতালে সিটিস্কান করার জন্য একটি স্লিপ লিখে দেন। পরে ৩৫০০ টাকার বিনিময়ে সিটিস্কান করা হয় এবং রিপোর্ট রাত ৮ টার সময় দিবে বলে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ফিরে আসি।

                                                          

তিনি আরো বলেন, হঠাৎ বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আমার হাতে ছাড়পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলেন বাড়ি চলে যান আপনার মেয়ে সুস্থ অছে। এদিকে মেয়ের অবস্থা বেগতিক ও  সিটিস্কান রিপোর্ট না দেখে ছাড়পত্র ধরিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রোগী সেবা পাচ্ছে না এমন অভিযোগ এনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তার পিতা।  এ সময় ওয়ার্ডের অন্য সকল নার্স একত্রিত হয়ে রোগীর বাবার ওপর চড়াও হলে তার মা এগিয়ে আসেন।

                                                             

শেষে মায়ের চুলের মুঠি ধরে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেন তারা। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই মিজান দুঃখ করে বলেন, শিপন আমার গ্রামের ছেলে তার ফোন পেয়ে আমি ছুটে যায় হাসপাতালে।

সে খুব গরিব মানুষ তার আহত শিশু সিমা মাথায় ও মুখে প্রচন্ড আঘাত পাওয়ার কারনে রক্তক্ষরন হচ্ছিল। একটি শিশুর এ অবস্থা দেখে যাদের মন কাঁদেনা তাদের দারা কি আশা করা যায়।

জনগনের টাকায় যাদের বেতন হয় তাদের দারা এমন আচারন কাম্য করেনা সাধারন মানুষ।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিউরো বিভাগ ৩০ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স রীমা খাতুন বলেন, গত রাতে আমার ডিউটি ছিলোনা এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।

এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’র মুঠো ফোনে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি, ফলে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

মতিহার বার্তা ডট কম – ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply